সে সমুদ্রের পাশে বসেই জানা হল অর্ণবের জীবন, অর্ণব অর্থ সমুদ্র। সে সমুদ্রের পাশে বসেই জানা হল অর্ণবের জীবন। আধখানা ভালো ছেলে আধা মস্তান, অর্ণবের সমুদ্রমন্থন, মিউজিক্যাল ফিল্ম, তাও অর্ণবকে নিয়ে কী দারুণ এক সংযোজন, বাড়তি কোন কথা নেই। শুধু অর্ণবের গান আর অর্ণবের জীবন, যেন শুধুমাত্র আমার জন্য করা কোন প্রাইভেট কনসার্ট।
অর্ণব গাইছে, বুনো বাজাচ্ছে, সুনিধি কোরাসে, সাথে দারুণ এক গানের দল। একটু পর পর গেয়ে উঠছে প্রিয় গানগুলো! খয়েরী সবুজ নীলচে হলুদ কমলা কালো, কেমন করে বলছে কথা, বাসছে ভালো? অর্ণবের জীবনের নানা রঙের গল্প, ভালোবাসার গল্প উঠে এসেছে এই মিউজিক্যাল ফিল্মে।
সে সমুদ্রের পাশে বসেই জানা হল অর্ণবের জীবন
আবরার আতহার ক্যামেরা হাতে সঙ্গী
ডকু ঘরানার এই কাজে অর্ণব নিজেই নিজের গল্প বলে গিয়েছেন। আবরার আতহার ক্যামেরা হাতে সঙ্গী হয়ে পিছু নিয়েছেন কেবল! সমুদ্রের স্রোত আর বৈরাগী বাতাস কখনো এসরাজ হয়েছে আবার কখনো পিয়ানো। অর্ণবের খালি গলার গানে নতুন সুর হয়েছে তারা।
আধখানা ভালো ছেলে, আধা মস্তান মিউজিক্যালে অর্ণবের পুরো জীবন উঠে আসে নি। পুরো জীবনটাকে আনার চেষ্টাও করা হয় নি। শুধু অর্ণবের সাথে বৈঠকি ঢঙে আড্ডা হয়েছে। কখনো অর্ণব বলেছে শৈশবের কথা, কখনো সুনিধির সাথে প্রেমে মজেছে। অর্ণবের বাবা, মা আর প্রিয় কুকুর দুব্বা ব্যক্তি অর্ণবকে চিনিয়েছে।
অর্ণবের গল্প বলতে গিয়ে বলা হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প, মুক্তির গানের গল্প, শাহবাগের গণজাগরণের গল্প, যাদবপুরের হোক কলরবের গল্প। অর্ণব আর অর্ণবের গান এমনই! প্রেম থেকে শুরু করে বিরহে অর্ণবকে চাই! রবীন্দ্রনাথ থেকে আব্বাসউদ্দিনে অর্ণবকে চাই। মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না।
হাইলা লোকের লাঙ্গল বাঁকা জনম বাঁকা চান্দ রে জনম বাঁকা চান্দ তার চাইতে অধিক বাঁকা, হায় হায় তার চাইতে অধিক বাঁকা যারে দিছি প্রাণ রে দুরন্ত পরবাসী অর্ণবকে চাই হোক কলরব প্রতিবাদে। অর্ণবকে চাই হারিয়ে গিয়ে বিবাগী হলে।
আরও দেখুন….
- বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শায়ান চৌধুরী অর্ণব
- আপনার মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে কি করবেন?
- সুপার কম্পিউটার কি এবং এর বৈশিষ্ট্য গুলো দেখুন
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল। শুধু ছুঁয়ে যায় অর্ণব, অর্ণবের গান। পুরনো গানে নতুন সুরে সে গানগুলো আবারও নতুন লাগে। অর্ণব একসময় গান শেষ করতে পারতো না কনসার্টে এসে, দর্শকরা নিজেরাই গেয়ে দিতো অর্ণবের হয়ে গানগুলো।
এখন অর্ণব গান করেন, নিজেকে সামলে নিয়েছেন। আবারও কোন বৈঠকি আসরে অর্ণব গান শোনাবেন, আমরা তার আশেপাশে বসে থাকবো। একস্বরে গেয়ে উঠবো কখনো পুরনো না হওয়া গান- সে যে বসে আছে একা একা তার স্বপ্নের কারখানা চলেছে আর বুড়ো বুড়ো মেঘেদের দল বৃষ্টি নামার তাল গুনছে ।
আটকে রাখো চোরা হাতে আর করো
‘আমায় ধরে রাখো, আমায় বেঁধে রাখো, আটকে রাখো চোরা হাতে আর করো না দেরি জড়াও পায়ে বেড়ি পালিয়ে যাওয়ার পণ করেছি রাতে।’ অর্ণবকে কিছুটা হলেও ধরে রাখার দারুন চেষ্টা করেছেন নির্মাতা আবরার আতহার। ‘চরকি’তে মুক্তি পেয়েছে সঙ্গীতশিল্পী অর্ণবকে নিয়ে নির্মিত মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘আধখানা ভালো ছেলে আধা মস্তান’।
নানা কারণে মিউজিক্যাল ফিল্মটির প্রতি দর্শকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সত্তর মিনিটের এই ছবিতে আছে অর্ণবের গাওয়া জনপ্রিয় ‘রাস্তায়’, ‘আধখানা’, ‘চাই না ভাবিস’, ‘সে যে বসে আছে’, ‘হারিয়ে গেছি’সহ ১২টি গানের নতুন সংগীতায়োজন।
অনেক গান থাকলেও ব্যক্তি অর্ণবের নানা অজানা তথ্য ওঠে এসে একটা ডকুমেন্টারি ফ্লেভারও দিয়েছে এতে। অর্ণবের সঙ্গে মিউজিক্যাল ফিল্মটিতে দেখা গেছে তাঁর স্ত্রী সুনিধি, পরিবার ও বন্ধুদের। গানের অংশগুলোয় অর্ণবের সঙ্গে বাজিয়েছেন অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস গানের দলের সদস্যরা।
অর্নবের দ্বৈত ব্যক্তিসত্তার মত ফিল্মটিকেও আধখানা ডকু আধা মিউজিক্যাল বলাই যায়। ফিল্ম নিয়ে অর্ণব নিজে বলেছেন, ‘এ ধরনের চলচ্চিত্রে সম্পাদনা তো খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটা দিয়ে গল্পটা দাঁড়ায়। পরিকল্পনা ছিল একটা মিউজিক্যাল শো করা, যেটাতে আমি পারফর্ম করব।
নতুন-পুরোনো গান থাকবে, গানের পেছনের গল্প বলব। কিন্তু সে কিছু কিছু জায়গায় আমার গানের সঙ্গে এমন কিছু বিষয় যুক্ত করেছে, ওসব বাড়তি ইমোশন তৈরি করছে। একটা সুন্দর জার্নি তৈরি হয়েছে, ইট ওয়াজ আ ব্রিলিয়ান্ট জব। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই চলচ্চিত্রে আমার আম্মু ও আব্বু দুজনই ছিলেন।
আমাকে নিয়ে কথা বলছেন। আব্বু তো বরাবরের মতো আমাকে পচাইছে। আব্বু জীবনে কোথাও যান না, এটাতে লাকিলি তাঁকে পাওয়া গেছে।’ অর্ণবের বাবা স্বপন চৌধুরী, মা সুরাইয়া চৌধুরী, স্ত্রী সুনিধি ও অন্যান্যদের মুখে ওঠে এসেছে সত্যিকারের মানুষ অর্ণবের কথা।
সে সমুদ্রের পাশে বসেই জানা হল অর্ণবের জীবন
নির্মাতা আবরার তার সাথে অর্ণবের
নির্মাতা আবরার তার সাথে অর্ণবের সম্পর্কের কথা বলে সঙ্গীতের সাথে কানেকশনের কথা তুলে ধরেছেন আমাদের সময়ের। আমি তখন ভাবনা নিয়ে জাগি ভাবতে থাকি সত্যি কী যে চায় শুকনো পাতায় আগুন জ্বেলে নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমের দেশে যাই ভাবতে ভাবতে ঘুমের দেশে যাই অর্ণব ‘শুকনো পাতা’ নিয়ে আর কিছু বলতে চাননি।
আমরাও হয়তো শুনতে চাই না। আমরা যেই গানের অর্ণবকে চাই, সে নিজেকে বারবার হারিয়ে খুঁজেছে। ‘হোক কলরব’ হাতে নিয়ে, বুকে বেধে যাদবপুরে যেভাবে প্রতিবাদের ভাষা হয়েঁছিলো সেভাবেই সঙ্গীত জাতীয় জীবনেও বারবার হাত বাড়িয়েছে।
ফিল্মে দেখানো হয়েছে সেসবও। আবরার আতহার ভাল একটা ফিল্ম মিডিয়াম নিয়ে এক্সপ্লোর করেছেন। সমালোচনার জায়গাগুলো পাশ কাটিয়ে তিনি অর্ণবের ফিলোসফিকাল ভাবনাকে দর্শকের সামনে এনেছেন। ফিল্ম দেখে শেষ গানটার মতই একটা মিষ্টি মিশ্র অনুভূতি হবে হয়তো সবারই।
আধখানা পথ হাঁটা, আধা বিশ্রাম আধখানা ফাঁকিবাজি, আধা সংগ্রাম একটা বাংলা ভেঙে আধখানা আছে আধখানা স্বাদ নিয়ে আধপেটা বাঁচে আধখানা ভালো ছেলে, আধা মস্তান আধখানা ভাঙ্গা সুরে গায় আধা গান আধখানা ভালো ছেলে, আধা মস্তান Malcolm X ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মুসলিম মিনিস্টার এবং মানবাধিকার কর্মী।
তিনি নাগরিক অধিকার আন্দোলনে
তিনি নাগরিক অধিকার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি Nation Of Islam (NOI) এর মুখপাত্র ছিলেন। ধর্মীয় নেতা Elijah Muhammad তাকে (Malcolm X) ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা দিতে থাকেন। মক্কায় হজ্জ করার পর Malcom X তার নাম পরিবর্তন করে El-Hajj Malik El- Shabazz নাম গ্রহণ করেন।
Malcolm X মুভিটিতে Malcolm X এর সাধারণ মানুষ থেকে মানবাধিকার কর্মী এবং ইসলাম গ্রহণ করার ফলে তার সাথে কোন ধরণের ঘটনা ঘটে তা তুলে ধরা হয়েছে। আমেরিকান সিনেমায় ইসলাম কে এইভাবে কখনো দেখানো হয়েছে কিনা জানি না।
তবে ইসলামের অনেক পজিটিভ দিক তুলে ধরা হয়েছে৷ মানবাধিকার অর্জনে ইসলামের ভূমিকা এবং সবার মিলে কাজ করার বিষয়কে গুরুত্ব সহকারে দেখানো হয়েছে। Malcolm X এর ত্যাগ,কষ্ট এবং পরিশ্রম কে তুল ধরা হয়েছে। কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের কে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং তাদের সাথে বিভিন্ন ধরণের জুলুম করা হয়েছে তার সুন্দর উদাহরণ এই মুভি।
Denzel Washington এই মুভিতে তার অভিনয়ের জন্য Best Actor ক্যাটাগরিতে Oscar Nomination অর্জন করেন।এই মুভিটাকে অনেকে ভেনোম এর সাথে তুলনা দেয় এবং এটা নাকি ভেনমের মতো বাট আমি এই মুভিটাকেই এগিয়ে রাখবো। কি অসাধারণ একটা মুভি। টানটান উত্তেজনাকর মোমেন্ট, সাস্পেন্স, থ্রিলার, একশন আর সবচেয়ে বড় যে জিনিস যা সবকিছু ছাপিয়ে গেছে তা হলো মুভিটার টুইস্ট।
.